চা শ্রমিক ডটকমঃধুপাগুল-সাহেবের বাজার ভাঙ্গা রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মিথ্যা আশ্বাস এবং কাজের কাজ না হওয়ার প্রতিবাদে ৫০০০হাজার যুবক মিলে “কোঁদাল কর্মসূচি” দেয়ার লক্ষে
গত ৭ই মার্চ মতবিনিময় সভার ডাক দেন ধুপাগুল-সাহেবের বাজার রাস্তা সংস্কার বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম।সভাটি অনুষ্ঠিত হবে ১৩মার্চ শুক্রবার সন্ধায় সাহেবের বাজার মাদরাসার হল রুমে।
কিন্তু মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে ১০মার্চ,৩নং খাদিমনগর ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদে এক জরুরী সভা ডেকে ১১মার্চ তড়িগড়ি করে ট্রাক বন্দের সিদ্ধান্ত নেন।এতে রাস্তা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীরা মনে করেন,আন্দোলনের আওয়াজকে বরাবরের মতন থামিয়ে দেয়ার জন্য ট্রাক বন্দ করে একটি নতুন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।ইউনিয়ন পরিষদের হুট করে নেয়া সিদ্ধান্তে সমালোচনার ঝড় উঠে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে।অবশেষে একতরফা সিদ্ধান্ত থেকে বাঁচতে তারা সহযোগী হিসেবে ধুপাগুল স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতিকে এড করে পূণরায় ট্রাক চালু করার সিদ্ধান্ত নেন।তবে কাজ শেষ হবার পর এ সিদ্বান্ত চালু হবে বলে জানা যায়।
গতকাল ১৩ই মার্চ ২০২০ইং শুক্রবার হাফিজ জমির উদ্দিনের পরিচালনায় পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী স্হানীয় সাহেবের বাজারে সাহেবের বাজার যুব সমাজের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সে সময় উপস্থিত সকলের ঐক্য মতের ভিত্তিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত সমূহ:
১/যেহেতু রাস্তা সংস্কার করে দেয়ার আশ্বাসে ইউনিয়ন পরিষদ তড়িগড়ি করে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে,তাই আপাতত সকল আন্দোলন স্হগিত ঘোষণা করা হল।
কিন্তু বরাবরের মতন যদি যুব সমাজের কন্ঠরোধ করে দেয়ার এটি কোন প্রদক্ষেপ হয় এবং রাস্তার কাজ না হয়।তাহলে পরবর্তীতে প্রতি গ্রাম থেকে ৪০জনের কমিটি করে ৩২টি গ্রামের মানুষকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
২/আমরা কারো ব্যবসার ক্ষতি চাইনা,রাস্তা ভালো হলে ট্রাক চলুক,ব্যবসা চলুক,এতে সাহেবের বাজার এলাকার কোন সমস্যা নাই।কিন্তু মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে ফিৎনা সৃষ্টি করে রাস্তার কাজ চিরতরে বন্দ করে দেয়ার পায়তারা করা হলে সহ্য করা হবে না।
৩/ শুধু ফেইসবুকে নয় যত দ্রুত সম্ভব
বাস্তবে রাস্তার কাজ শুরু করতে হবে।অপরিকল্পিত ভাবে
কাঁদা মাটি রাস্তায় দিয়ে যেন গর্তের সৃষ্টি না করা হয়।সেজন্য পরিকল্পিত ভাবে রাস্তার কাজ শুরু করতে হবে।
পরিকল্পিত ভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্হা করতে হবে,পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা করে বর্ষার দিনে ব্যাঘাত ঘটা রোধ করতে হবে।
৪/পরবর্তী জরুরী কোন সিদ্ধান্ত নেয়া কিংবা না নেয়া ধুপাগুলের রাস্তার কাজের উপর নির্ভর করবে।কাজ না হলে,কিছুদিন ধৈর্য্য ধরে পূণরায় মতবিনিময় সভা ডেকে এলাকার মোরব্বিয়ান,যুব সমাজ,ছাত্র-শিক্ষক,শ্রমিক জনতাকে সাথে নিয়ে মতবিনিময় করে আন্দোলন করতে হবে।
৫/ইউনিয়ন পরিষদ ব্যর্থ হলে,পরবর্তী আন্দোলন হবে খাদিমনগর ইউনিয়নের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্দোলন।
রাস্তা বর্জন করে কোম্পানিগন্জ এবং এয়ারপোর্ট রাস্তা ব্লক করে দেয়ার মতন সিদ্বান্ত আসতে পারে।রাস্তার জন্য যা যা প্রয়োজন সব করবে যুব সমাজ।