বিশেষ প্রতিবেদনঃ লকডাউনের মধ্যে চরম অস্থির ও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ইতালি। দেখা দিয়েছে চরম দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ। অভাবের তাড়নায় দিশেহারা জনগণ। লুটপাট শুরু হয়ে গেছে দেশটির অনুন্নত অংশ সিসিলি দ্বীপে।
দ্বীপজুড়ে শপিংমল ও সুপারমার্কেটগুলোতে হামলা চালাচ্ছে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে দেশটির পুলিশ বাহিনী। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভেঙে পড়েছে ইতালির স্বাস্থ্যব্যবস্
৯২ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীর
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ইতালিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ হাজার ৪৭২ জনে।
মহামারী ঠেকাতে ১২ মার্চ থেকে লকডাউনে পুরো ইতালি। তিন সপ্তাহের মাথায় গত বৃহস্পতিবার থেকে খারাপ হতে থাকে সিসিলি দ্বীপের পরিস্থিতি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লা রিপাবলিকা জানিয়েছে, এদিন একদল
স্থানীয় জনতা পালেরমো এলাকার একটি সুপারমার্কেটে ঢুকে পড়ে। এরপর সেখানকার সব মালামাল নিয়ে বেরিয়ে যায় তারা। এ
সময় তারা বলে, ‘আমাদের কোনো টাকা নেই। কিন্তু আমরা ক্ষুধার্ত। আমাদের খেতে হবে।’
লুটপাট ঠেকাতে বন্দুক কেনার হিড়িক : করোনা মহামারীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার হিড়িক পড়েছে। অস্ত্র কিনতে দোকানের সামনে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন পড়ছে প্রতিনিয়ত।
কারণ হিসেবে ক্রেতারা বলছেন, করোনার প্রাদুর্ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে লুটেরাদের উৎপাত বাড়বে। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে অস্ত্র কিনে রাখছেন তারা। সরবরাহ কম থাকায় কিছু খুচরা বিক্রেতা সেভাবে অস্ত্র বিক্রি করছেন না।
এ কারণে দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে কেনার পাশাপাশি অনলাইনেও অর্ডার দিয়ে অস্ত্র কিনছেন
অনেকে। ইউএসএ টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরু থেকেই অস্ত্র কেনাকাটা বেড়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার
লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দা ড্রিউ প্লোটকিন বলেন, সবাই ভয় পাচ্ছে। সারা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। এ রকম বাজে পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে চাইছে সবাই।
Leave a Reply