1. farukahmodcha@gmail.com : admin :
  2. mmmfamod@gmail.com : Desk : Desk
  3. chasromiktv@gmail.com : desk two : desk two
  4. chasromiktv2@gmail.com : Desk three : Desk three
  5. zakirhosan68@gmail.com : md hosan : md hosan
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন

ছুটির দাবীতে আগামীকাল চা শ্রমিকের ১০মিনিটের প্রতিবাদ কর্মসুচি

অনলাইন ডেস্কঃ
  • Update Time : শুক্রবার, ১০ এপ্রিল, ২০২০
  • ১৩৩৫ Time View

চা শ্রমিক ডটকমঃ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশের অফিস-আদালত সবই এখন বন্ধ। তবে ছুটি নেই চা-বাগানের কর্মীদের। আগামীকাল শনিবার সকালে ‘১০ মিনিটের প্রতিবাদ’ কর্মসূচি দিয়েছে চা-শ্রমিক ইউনিয়ন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি বৃহস্পতিবার বিকেলে এ কথা জানিয়েছেন। পূর্বঘোষিত আজ শুক্রবার এ কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কিন্তু পবিত্র শবে বরাতের কারণে বিভিন্ন বাগান আজ বন্ধ। তাই তারিখ পিছিয়ে শনিবার নির্ধারণ করা হয়।

শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৬৬টি চা-বাগান রয়েছে। এসব বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও চা-শিল্প এর আওতার বাইরে পড়ে যায়। অথচ বাগানের শ্রমিকেরা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাস করেন। ফলে তাঁদের ঝুঁকি বেশি। এ অবস্থায় বাগানে ছুটি ঘোষণার যৌক্তিকতা তুলে ধরে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চা-বাগানের মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ চা-সংসদসহ (বিটিএ) বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। এর প্রতিবাদ জানাতে আগামীকাল শনিবার সকালে কাজে যোগদানের আগে সব বাগানে অন্তত ১০ জন শ্রমিক ব্যানার নিয়ে একটি নির্ধারিত স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকবেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরি সুত্রে যানাযায় ‘করোনার সংক্রমণ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। আমরা খুবই শঙ্কার মধ্যে আছি। বাগানের শ্রমিকেরা দল বেঁধে কাজে যাচ্ছেন। চায়ের পাতা তুলছেন। বাগানগুলোতে করোনা সংক্রমিত হলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় ছুটির দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। সবাই বলছে, সরকার নির্দেশ দিলে ছুটি ঘোষণা করা হবে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি আহ্বান করতে হয়েছে। ইতিমধ্যে মোবাইল ফোনে সব ভ্যালির (কয়েকটি চা-বাগান নিয়ে একটি ভ্যালি গঠিত) সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কর্মসূচির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তবে বাংলাদেশ চা-সংসদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বরাতদিয়ে যানাযায় চা-বাগানে এখন পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। করোনার সংক্রমণ রোধে আগে থেকেই বাগানগুলোতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের মাস্ক-সাবান দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে। শ্রমিকেরা তা মেনেও চলছেন। আর চায়ের ব্যবসা এমনিতেই খারাপ। ছুটি দিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এর প্রভাব শ্রমিকদের ওপরও পড়বে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে চা-বাগানে ছুটি ঘোষণার কোনো নির্দেশনা নেই। এ ব্যাপারে সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা দরকার।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Chasromik.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি