চা শ্রমিক ডটকমঃ- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস) স্ট্যাটাস দেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া নায়েক মো. সফি আহমেদ।
এক মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে উল্লেখ করে উক্ত লেখাটি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে।
পাঠকের সুবিধার্থে লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
” সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস) জেদান আল মুসা। “করোনা ভাইরাস” পরিস্থিতিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। অসহায় মানুষদের মধ্যে কখন দিনে কখন রাতের আঁধারে অতি গোপনে মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকেন। কখনও খাবার বিতরণ, কখনও নগদ অর্থের মাধ্যমে, কখনও বা মানসিক ভাবে সহায়তা করে থাকেন। তিনি মিডিয়াতে থেকেও প্রচার বিমুখ। করোনার এই সময়েও অফিস এবং অফিসে বাইরে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন।
সত্যি এই প্রিয় মানুষ এর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। উনার সাথে থেকে মানবিকতা কি তা বুঝতে পারছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে জিজ্ঞেস করি স্যার আপনি মিডিয়াতে কাজ করেন কিন্তু কখন আপনার ভালো কাজ গুলো প্রকাশ করেন না কেন? তখন স্যার বলেন সাহায্য সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা অবলম্বন করি। ত্রাণ বা সাহায্যের নামে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রায়ই সময় ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে করে একশ্রেণীর মানুষজন লজ্জাকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে। তাদের আত্মীয় স্বজন,বন্ধুবান্ধব ও পাড়া প্রতিবেশীরা যখন এসব ত্রাণ গ্রহণের ছবি ও ভিডিও দেখছে তখন তারা লজ্জাকর পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারাও এক সময় স্বাবলম্বী হবে, কিন্তু এসব ছবি বা ভিডিও তাদের ভবিষ্যতের জন্য লজ্জার বিষয় হবে। আমরা সবাই বাঙালি। সুখে দুঃখে সবাই একসাথে থাকবো। আমাদের দেশের সামাজিক বন্ধন অত্যন্ত সুদৃঢ়। সকলের সুখ-দুঃখ নিজেরা ভাগ করে নিই।
বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা মোকাবেলায় কাজ করছে। বাংলাদেশ পুলিশ সবসময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করে এটাই স্যার সার্থকতা । সত্যি স্যার আপনার এই অনুভূতি অসাধারণ। আপনার এই নীতি সবসময় অনুসরণীয়। স্যালুট স্যার”
লেখক: মো.সফি আহমেদ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া নায়েক।
Leave a Reply