চা শ্রমিক ডটকমঃ- আজ রাত ১ঃ২৫ মিনিটের সময় সিলেট, জৈন্তাপুর উপজেলা,চিকনাগুল ইউনিয়নের হাবিব নগর চা বাগান গ্রামে ডাকাতি লুটপাটের শিকার হওয়া থেকে রেহাইপেল।
কিছুদিন আগ থেকে ব্যবস্থাপক আফজাল চৌধুরী (ম্যানেজার) সতর্কসংকেত দেয়া হয়েছে যে হাবিব নগর চা বাগানের বিসাল বড় পুকুরের সব মাছ ডাকাতি লুটপাট করে নিয়ে যাবে। তাই ম্যানেজার সাহেব পাহারাদার ছিল আগে এক জন সংকেত পাওয়ার পর থেকে গত শনিবার ১১-০৪-২০২০ইং তারিখ থেকে পাহারাদার বাড়িয়ে ৮-১০জন দিয়েছেন।
আজ রাতে ১ঃ২৫মিনিটের সময় ডাকাত দল আশে পরে প্রহরিরা কয়েকজনকে (ফিসারি) সেই বিশাল পুকুরের পাড় দিয়ে হাঁটে ৪-৫জন ডাকাত দল বড় রাম দা, ছুলফি,জাটা, নিয়ে আসে পরে হাঁটে বাকিরা পুকুর পাড়ের তারের বেড়ার বাহিরে আনুমানিক আরো ২০-২২জন ডাকাত ছিল বলে জানায় প্রহরীরা।
সবাই দেখে যে ডাকাত প্রথমে দু’জন বেড়ের ভিতরে ঢুকে দেখে প্রহরীরা আছে কিনা, পরে আরো ৪-৫ ঢুকে পড়ে একজন প্রহরী বড় বড় রাম দা ছুলফি দেখেই ভয়ে চিৎকার দিল আর পাগলা ঘন্টা দিল পরে ডাকাত দল পাগলা ঘন্টা শুনে পালায়।
পাগলা ঘন্টার আওয়াজ শুনে সারা হাবিব নগর চা বাগানে গ্রামের লোক ছুটে যায় যেয়ে শুনে ডাকাত দল এসেছিলো। গ্রামের লোক যেতে যেতে ডাকাত পালিয়ে যায় কিন্তু এলাকার সব লোক খুঁজে তাদেরকে কে পাবে পাশেই চা বাগান বাগান দিয়ে চলে যায়।
কিন্তু হাবিব নগর চা বাগান গ্রামের লোক সস্তিতে নেই কারণ প্রহরীরা জানায় যে ডাকাত দলের লোকরা ছিল মালগাম,শ্যামপুর,বাগেরখাল এই তিন গ্রামের ডাকাতগুলো খুব ভয়াবহ লোক।
হাবিব নগর চা বাগানের পাঞ্চায়েত সুমন কালিন্দী ও সেক্রেটারি নানুমিয়া সবাইকে বলে যে আরো কোন ক্ষতি হতে দেবক নায় আমরা পঞ্চায়েত কমিটিরা সবাইকে শান্তনা দিয়ে রাত ৩ঃ০৭ মিনিটে বাড়ি যেতে বলে পড়ে সবাই যার যার বাড়ি চলে যায়।
বাগানের প্রহরীদের কোন শান্তিতে নেই কারন ডাকতের আতংকে আছে প্রহরীরা। ডাকাতদের জন্য আইনি ব্যবস্হা নিবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপক ম্যানেজার আফজাল হোসেন চৌধুরী।
Leave a Reply