নিজস্ব প্রতিবেদক:গত ১৭ ও ১৮মে হতে “চেঙ্গেরখাল নদীতে নৌযান হতে চাঁদাবাজি এবং নৌযানে চাঁদাবাজি: অন্তরালে দিলোয়ার চেয়ারম্যান” শিরোনামে সিলেটের স্হানীয় বেশ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় চেয়ারম্যানের মদদে ও ছত্রছায়ায় গড়ে উঠা ঐ চক্রের চাঁদাবাজীর সংবাদ প্রকাশ হলে এই গোপন বিষয়টি দেশ-বিদেশের সকলের সামনে উঠে আসে,এতে বিপাকে পড়েন চেয়ারম্যান ও চাঁদাবাজ চক্র।তারা বিভিন্ন ভাবে সংবাদকর্মীদের মেনেজ করতে প্রাণপন চেষ্টা চালান।অনেক চেষ্টার পর গতকাল রাতে সংবাদটি প্রথম যে পত্রিকায় প্রকাশ হয় সেই পত্রিকার সম্পাদককে
সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ঐ চাঁদাবাজ চক্রের সাথে জড়িত সাহেবের বাজার এলাকার একজন ধান্দাবাজ সংবাদকর্মীকে দিয়ে ৩০হাজার টাকায় দহরম মহরম করে চাঁদাবাজি দামাচাপা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ক্রাইম সিলেট নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক এই সত্য ঘটনা তুলে ধরলে চাঁদা আদায়কারী শাহ্ জালাল এন্টারপ্রাইজের পরিচালক
টিলা পাড়ার সাইদুল ইসলাম তখন প্রতিবেদকের কাছে “চাঁদা তুলার কথা স্বীকার করে” ইউনিয়নের টেক্স তুলছেন বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান। ক্রাইম নিউজ পোর্টালের স্কিনশর্ট নিম্নে দেয়া হলো-
তবে,একি বিষয়ে জাতীয় পত্রিকা দৈনিক দিগন্তর সিলেটের প্রতিনিধি ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে চাইলে চেয়ারম্যান নিজেই ফোন রিসিভ করে তা অস্বীকার করেন।এবং প্রেস রিলিজেও চাঁদা আদায়ের বিষয়ে তিনি জড়িত নয় বলে জানান।চাঁদা আদায়কারী চক্রের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে ও অস্বীকার করেন প্রেস রিলিজের।নিম্নে জাতীয় দৈনিক দিগন্তর পত্রিকার –
তথ্য অনুসন্ধান করে জানা গেছে,একটি সত্য ঘটনা দামাচাপা দিতে তারা সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং বিভিন্ন পত্রিকায় প্রেস রিলিজ দিয়ে নিজেকে ফেরেশতা বলে বহি:প্রকাশ করতে মরিয়া হয়ে উঠছেন চেয়ারম্যান ও নৌকা হতে চাঁদা আদায়কারী ঐ চক্র।
আজ সরজমিনে খাদিমনগর ইউনিয়নের চেঙ্গেরখাল নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠা বসতি টুকের গাঁও গ্রামের নৌকা ঘাটে গেলে উঠে আসে অজানা আরো অনেক সত্য ও বাস্তব তথ্য।টুকের গাঁও গ্রামের একজন কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে
জানান,তারা তো ভাই বারো মাসই চাঁদা তুলে,কিন্তু আমরা নিরিহ মানুষ ভাই,ইতা বিষয়ে মাততাম চাইনা।আপনারা যা হুনচইন তা সত্য,পত্র পত্রিকাতে ইতা আইলে তারা আর ঘাটে আয়না,কয়দিন গিয়া সবতা ঠান্ডা অইলে তঅউ আবার আইয়।আইন যেন পাকানিত একদিন আইছন বাটে।তও সরজমিনে তারারে পাইবা,ইনো সব আইন।এমন সহজ স্বীকারাক্তি দিলেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে টুকের গাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
এই চাঁদাবাজ চক্র প্রতিদিন১৫থেকে ২০হাজার টাকা চাঁদা তুলে বলে ধারণা দেন একজন যুবক।তিনি আরো জানান,
নাম কইতে শুধু আমাদের ভয় লাগে,তারা মারধর করবে আমার নাম শুনলে,কিন্তু নিরিহ নৌকার মাঝিদের কান্না দেখলে কষ্ট লাগে ভাই আমাদের,আপনারও কষ্ট লাগবে বলেন প্রতিবেদককে।
এদিকে চাঁদার বিষয়টি ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নে ফ্লাস হলে “টপ অব দ্যা ইউনিয়নে” পরিণত হয়।সম্মান রক্ষা করতে একের পর এক প্রেস রিলিজ দিচ্ছেন দিলোয়ার চেয়ারম্যান।
যেহেতু,নদী,খাল,বিল সিলেট ডিসির সম্পত্তি এবং লিজ দেয়ার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের কোন এখতিয়ার নেই,সেহেতু নিশ্চিত চাঁদা আদায় করা একটি অবৈধ কাজ।আর সেই কাজে প্রতিবেদককে ডা.সাইদুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যে চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার বিষয় পরিষ্কার।
ভুক্তভোগী নৌকার মাঝিরা ভাসমান তথা বিভিন্ন ডিস্ট্রিক হতে আগত হবার ফলে তারা স্হানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার সাহস না পেলে ও অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেয়া এলাকাবাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্হা নিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply