চা শ্রমিক ডটকমঃ হবিগঞ্জে চুনারুঘাট থানার দারাগাঁও চা বাগানের (পাকা লাইনের) মৃত পরেশ সাওতাল চা শ্রমিকের মেয়ে এস সাওতাল (১৪) কে ছদ্মনাম। গত ১৬ জুন মঙ্গলবার পরিবারের লোকজন কাজে থাকায় বাড়ীতে একা পেয়ে দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় এস সাওতাল কে হাত পা মুখ দড়ি দিয়ে বেধেঁ অমানুষীক ভাবে নির্যাতন করে ধর্ষণ করে একই বাগানের বিপেশ বুনারজী (৪০)। তাকে সহযোগিতা করেন দিপাল বুনার্জী ( ৩৫)বুলবুল গোয়ালা (২৭)। দিন দুপুরে নিজ ঘরে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করার চেষ্টা করে দূর্বত্তরা।
ভিকটিমের মা মিনা সাঁওতাল বাগানের কাজ শেষে আনুমানিক ৫টার দিখে বাড়ী ফিরেন এসে মেয়ে কে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন মেয়ের হাত পায়ের বাদন খুলেদেন। পরে মা ঘটনাটি দারাগাও ৮নং সাটিয়াজুড়ি ইউ পি সদস্য মাহবুব আলীকে বিষয়টি জানান, উনি বলেন আমরা উপযুক্ত বিচার করে তার সমাধান করে দিব।
ধর্ষিতার মা চা শ্রমিক ডটকমকে জানান আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে তারা আর ও বলেন এই ঘটনাটি অন্য কাউকে না বলতে বিপেশ বুনারর্জী লোকজন বলে প্রশাসনিক বা অন্য কাউকে বললে তারা আমাকে এই গ্রাম থেকে বিতাড়িত করে দিবে। পরে আমি ভয়ে আর কাউকে কোন কিছু বলি নাই দিন ঘনিয়ে আসলে দু’একদিনের মধ্যেই মেয়ের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে এমনতো অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ খবর শুনে বিপেশ বুনারজী ধর্ষণকারী পরিবারের লোকেরা আমার পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করে তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে আসার জন্য। এমতাবস্থায় বাপ হারা মেয়েদেরকে নিয়ে এখন আমি কোথায় যাব কার কাছে যাব এই বলে কান্নাকাটি করেন প্রশাসনিক, চেয়ারম্যান-মেম্বারহ সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে বিচার চাই।
ভিকটিম সুত্রে যানাযায়ঃ আমি ঘরে একা ছিলাম হটাৎ করে তিন জন আমার ঘরে ডুকে পরে বুনারজী ছেলে বিপেন বুনারজী বলে ঘরে কেউ নাই, দিপাল,বুলবুল গোয়ালা আমাকে মারধর করে হাত পা মুখ বেধে ঘরের বাহিরে চলে যায় তারা পর বিপেশ বুনার্জী আমাকে ধর্ষণ করে মারধর করছে আমাকে ধর্ষন করা হয়েছে কিনা আপনারা যে কোন জায়গায় আমাকে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন এই ছেলে আমাকে ধর্ষণ করেছে কিনা। না হলে উপযুক্ত বিচার করবেন আমার। আমার বাবা নেই বলে আমি এতিম ভিকটিম এবছর ৮ম শ্রেণীর জে এসসি পরিক্ষার্থী ছিলেন।
ভিকটিম বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর হাপাতাল চিকিৎসাদিন অবস্থায়া আছেন ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী এস, সাওতাল পরিবারের লোকদের পক্ষে চিকিৎসার টাকা দেবার সামর্থ্য না থাকায় মানুষে কাছ থেকে চাঁদা তুলে চিকিৎসার খরচ বহন করছেন।
এবিষয়ে চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply