1. farukahmodcha@gmail.com : admin :
  2. mmmfamod@gmail.com : Desk : Desk
  3. chasromiktv@gmail.com : desk two : desk two
  4. chasromiktv2@gmail.com : Desk three : Desk three
  5. zakirhosan68@gmail.com : md hosan : md hosan
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

চা শ্রমিকের দুঃখের কথার কোন শেষ নেই

সন্জয় চৌহান জুড়ী ভ্যালী।
  • Update Time : শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০২০
  • ১৩২৮ Time View

চা শ্রমিক ডটকমঃবাংলাদেশে প্রায় ছয়টি জেলাতে চা বাগান আছে, তার মধ্যে মোলভীবাজার জেলায়-৯০টি চা বাগান, হবিগঞ্জ-২৩টি, সিলেট-১৮টি, চ্রট্টগ্রাম-২১টি, রাঙ্গামাটি-১টি ও পঞ্চগড় জেলায়-৯টি চা বাগান রহেছে,। বাংলাদেশে যেভাবে দিন দিন চা বাগান গুলোতে চা উৎপন্ন হচ্ছে, তার বিনিময়ে গোটা চা শ্রমিকগন তাদের জীবন খুবই কষ্ঠে অতিবাহিত করছে, বিভিন্ন মতে জানা যায় যে, চা শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে ভাবে চা উৎপন্ন থেকে শুরু করে চা বাগান কৃর্তক যে সমস্ত কাজ রয়েছে সেগুলো চা শ্রমিক দ্বারা কাজ সম্পাদন করা হয়ে থাকে, তারপরও তাদের কাজের অনুপাতে চা শ্রমিকরা ন্যার্য মজুরী পাচ্ছে না। জানা যায় এখন বর্তমানে চা শ্রমিকের মজুরী-১০২ টাকা হারে, কিন্তু ১০২ টাকা মজুরিতে চা শ্রমিক কি তার পরিবার লালন পালন করা সম্ভব, একটা পরিবারে ছেলে/সন্তান নিয়ে প্রায় ৫/৬জন আবার কোন কোন পরিবারে তান অধিত মানুষ রহেছে। যেমন পরিবারে লেখা পড়া ভরন পোষনসহ ১০২ টাকা দিয়ে চা শ্রমিকরা তাদের জীবন যাপন করা সম্ভব নয়, এছাড়া আরও জানা যায় যে, চা বাগান গুলোতে যে মেডিকেল স্থাপন করা আছে, সেখানে গেলে কোন অসুস্থ রোগী যেমন- জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যাথা, ডাইরিয়া সহ বিভিন্ন সমস্যার রোগীকে প্যারাসিটামল, হিসটাসিন, মেট্রিল ছাড়া আর অন্য কোন ঔষধ পাওয়া যায় না। আরও রহেছে শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল- যেমন যারা গরিব দুঃখি ছাত্র তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছে না, তাদের প্রযাপ্ত পরিমানে শিক্ষা ব্যবস্থা নেই, যারা মেধা তালিকায় এগিয়ে আসে তারাই কেবল বিভিন্নভাবে সহযোগীতা পেয়ে থাকেন। আরও জানা যায় চা শ্রমিকের থাকার মত তেমন ঘর নেই ঘর থাকলেও সেখানে বসবাসের উপযোগী নয়, যেমন ঘর ভেঙ্গে গেছে, ঘরের ছাউনী দিয়ে বৃষ্ঠির পানি ঘরে প্রবেশ করার কারনে তারা সঠিক ভাবে বসত বাড়িতে থাকতে কষ্ট হয়, নেই কোন বিদ্যুতের সু-ব্যবস্থা ব্যবহার করে আসতে হয় সেই কেরসিন তেল দিয়ে জ্বালিত বাতি। কোন কোন চা বাগানে বিদ্যুতের সংযোগ থাকলেও দেখা যাই মাস কোন শ্রমিক সপ্তাহিক তলপ/পেমেন্ট পাওয়া যায় না, বলা হয় কারেন্ট বিল কেটে নেওয়া হয়েছে, অথচ ৩/৫ বৈদ্যতিক বাতি জ্বালিয়ে সপ্তাহিক সব পেমেন্ট কেটে নিয়ে যাই। এছাড়া ১৪/১৫ বছরের যে ছেলে/মেয়েরা আজ বিদ্যালয়ে থাকার কথা তারাও পেটের জ্বালা সহ্য করতে ন্ পেরে আজ বিভিন্ন পেশাতে কাজ করে যাচ্ছে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য। তাই চা শ্রমিকের সবার দাবী ৫০০টাকা দৈনিক সমমজুরী করার জোর দাবী ও বিভিন্ন মানব বন্ধন করে যাচ্ছে। না হলে যে চা বাগান গুলোতে চা উৎপন্ন হচ্ছে হয়ত তা আর হবে না কারন অনেক চা শ্রমিক না খেয়ে অদ্যহারে চা বাগানে কাজ করে যাচ্ছে। তাই চা শ্রমিকের দাবী চা শ্রমিক কে বাচাতে হলে দৈনিক সমমজুরী ৫০০টাকা হওয়া প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Chasromik.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি