চা শ্রমিক ডটকমঃ টানা ২৮ দিন ধরে বন্ধ থাকা কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা বাগান খুলে দেওয়া ও চেয়ারম্যানসহ চা শ্রমিকদের ওপর করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কমলগঞ্জ ময়না চত্তরে ও উপজেলা প্রশাসন ফটকে অবস্থান নিয়ে দাবী জানায় চা শ্রমিকরা আজ সোমবার(২৪আগষ্ট) সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দীর্ঘ ১৪ কি.মি. পথ বিক্ষোভ মিছিল করে সকাল ১১টা থেকে পায়ে হেটে ধলই চা বাগানের নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৫ শতাধিক চা শ্রমিকরা প্রতিবাদসহ এ দাবি জানিয়েছে।
চা বাগানের নারীনেত্রী গীতা রানী কানু. ছাত্র নেতা সজল কৈরী, রাম সিং, সুমন রাজভর ও প্রদীপ পালের নেতৃত্বে ৫ শতাধিক চা শ্রমিক ব্যানার ফেস্টুনসহকারে বিক্ষোভ মিছিল করে পায়ে হেটে কমলগঞ্জ উপজেলা সদরে আসে। এ খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে লাঠি সোটা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয়।
নারী নেত্রী গীতা রানী কানুসহ ছাত্র নেতারা বলেন, গত ২৭ জুলাই দলই চা বাগান মালিকপক্ষ বে-আইনী ঘোষণায় ধলই চা বাগান বন্ধ ঘোষণা করেছিল। এ নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে কয়েক দফা বৈঠক হলে চা বাগান খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি। পরে সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই স্থানীয় সাংসদ উপাধ্যক্ষ ড. মো.আব্দুস শহীদের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে দলই চা বাগানে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয়েছিল প্রথমে ১৯ জুলাই বুধবার ধলই চা বাগান খুলে দেওয়া হবে। পরবর্তী বৈঠকে চা বাগানের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম ও বন্ধ থাকালীন চা শ্রমিকদের মজুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এ সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও ঐ রাতেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম চা বাগানে প্রবেশ করেছিলেন। এ নিয়ে চা শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বুধবার (১৯ আগস্ট) ধলই চা বাগান কোম্পানীর সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক খালেদ মঞ্জুর খান ধলই চা বাগানে প্রবেশকালে শ্রমিকদের সাথে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুইজন নারী চা শ্রমিক লাঞ্চিত হলে উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়ে সহকারি-মহাব্যবস্থাপকের জিপের কাচ ভেঙ্গে ফেলে বিক্ষুদ্বরা। এ নিয়ে ধলই চা বাগান কোম্পানীর সহকারি মহা ব্যবস্থাপক খালেদ মঞ্জুর খান বাদি হয়ে ২২ আগস্ট মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানুসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হয়রানী মূলক মিথ্যে মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply