চা শ্রমিক ডটকমঃ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সঠিক তথ্য জানা থাকলে অভিবাসন খাতে দালালের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে কমে যাবে। সঠিক নিয়ম-কানুন জানা থাকলে কর্মীরা প্রতারিত হবেন না।’ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত ‘প্রতি উপজেলা থেকে বছরে গড়ে এক হাজার দক্ষ যুব ও যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিদেশ গমনেচ্ছুদের তথ্যকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যারা বিদেশে যেতে চান তারা যেন অবশ্যই বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সঠিক নিয়ম কানুন ও যাবতীয় তথ্য জেনে তারপর যান।’ আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে বিদেশ গমনেচ্ছুদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ বলেন, ‘সরকার প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। জনগণকে সঠিকভাবে সচেতন করা না গেলে সুষ্ঠু অভিবাসনের লক্ষ্য ব্যাহত হবে। দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যে অচিরেই খুলনা বিভাগে নয়টি সহ মোট ৭১টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।’ মহান মুক্তিযুদ্ধের বছরের স্মারক হিসেবে এই সংখ্যাটি বেছে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন– খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শামসুল আলম প্রমুখ। সেমিনারে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে গড়ে এক হাজার জন দক্ষ কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হলে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে দক্ষ কর্মী তৈরি করা যাবে।’
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। দেশের অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকা শক্তি হলো প্রবাসী কর্মীর রেমিট্যান্স।’ তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মূল লক্ষ্য হলো, অভিবাসন খাতে যথাযথ দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা।’
জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইতোমধ্যে দেশের জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply