চা শ্রমিক ডটকমঃ হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির নালুয়া চা বাগানে আজ ( ১৫ এপ্রিল) বৃহস্পতিবারে দুপুর থেকে সন্ধ্যা নানান আয়োজনে এ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। বন্য জঙ্গলের নানা রকমের ফলমূল বঙগা দেবতাদের কাছে অর্পণ করে এবং নিজের ব্যবহার করে থাকে।
আদিবাসী জনগোষ্ঠি সাঁওতালদের প্রধান উৎসব সহরায়। সহরায় উৎসব হয়ে থাকে কার্তিক মাসে। তাই সাঁওতালি বর্ষপুঞ্জিতে কার্তিক মাসকে ‘সহরায় বঙগা’ বলে। তবে অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশের সাঁওতালরা পৌষ মাসে সহরায় পালন করে থাকে। সাম্প্রতিক পৌষ সংক্রান্তিতে সারা বাংলাদেশের সাঁওতালদের মাঝে একযোগে সহরায় পালনের প্রচেষ্টা দেখা যায় । সহরায় উৎসবে মানুষসহ গৃহপালিত প্রাণির ও মঙ্গল কামনা করা হয় ঠাকুর জিউ-ঠাকরাণ(স্রষ্টা) এবং বঙগা(দেবতা)দের কাছে ।
বিভিন্ন দলিল, শ্রুতি ও সহরায় গান থেকে জানা যায় সান্তাল সমাজে সহরায় পাঁচ পর্বের।এই পাঁচ পর্ব পাঁচ দিন ধরে পালন করা হয়। সময়ের প্রয়োজনে অনেক গ্রামেই তিন দিনে এই পাঁটি পর্ব পালন করা হয়ে থাকে। পর্ব গুলো হলো- উম, দাকা, খুন্টাউ, জালে, সাকরাত।
সাঁওতালদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সহরায়। এই উৎসব অক্টোবর-নভেম্বর এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে হয়। প্রথমটিকে বলা হয় – সারি সহরায় এবং দ্বিতীয়টিকে বলা হয় – সাকারাত সহরায়। কেন এবং কখন থেকে এই বিভক্তি এ সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়না। তবে ধারণা করা হয় অর্থনৈতিক কারণেই এই বিভক্তি হতে পারে। তবে প্রতি বছর যেকোন একটি পালন করা হয়ে থাকে। সে হিসেবেই আজ সহরায় উৎসব উৎসব মূর্খর পরিবেশে না হলেও যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করেছে নালুয়া চা বাগানের সাঁওতাল আদিবাসীরা।
Leave a Reply