চা শ্রমিক ডটকম,অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ সম্প্রতি ফেসবুকে কালীপূজায় যাত্রা হবার প্রতিবাদে ২জন স্কুলছাত্রের অভিবাবকের কাজ বন্ধ রাখার পোষ্টে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মতামতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্ট হয়। এবং পোষ্টটিকে শেয়ারে ও কমেন্টের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এবিষয়ে সারেজমিনে খোজঁ নিয়ে যানাযায় বাগান পঞ্চায়েত কমিটি অপ্রিতিকর পোষ্টদাতার অভিবাবকদের বিষয়টি জানায় তাহারা কিভাবে বাগানে যাত্রা হচ্ছে অবগত হয়েছে সে বিষয়টি স-শরিলে এসে জানানোর জন্য। কিন্তু তাদের অভিবাবকেরা কোন গুরুত্ব না দেওয়াতে অপর দিকে বিষয়টি নিয়ে বাগান সহ সর্বৎ আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়ে পড়লে। শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই মিথ্যে প্রচারনার কারনে বাগানের সম্মান ক্ষুন্ন হয়াতে অসন্তোষ্ট হয়েপড়ে
বাগানের সৃংঙ্খলা রক্ষার্থে অভিবাবকগন তাদের কাজ বন্ধ রাখা হয়।বলে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি,সাধারন- সম্পাদক চা শ্রমিক ডটকমে অভিযোগ করে বলেন।
উল্লেখ্য চা বাগানে যাত্রা করতে চাইলে প্রথমেই বাগান ব্যাবস্থাপক,ইউনিয়ন,থানা সহ বেশ কিছু যায়গা হতে আবেদনের পরিপেক্ষিতে অনুমতিপত্র নিতে হয় মাসেক খানেক পূর্ব হতেই।
এবিষয়ে বরমচাল চা বাগানের বাগান সহ-ব্যাবস্থাপক সানাউল হকের সহিত চা শ্রমিক ডটকমের কথা হলে তিনি যানান এখন পর্যন্ত কোন যাত্রাগান করার জন্য বাগান পঞ্চায়েত বা কোন শ্রমিকের পক্ষ হতেও আবেদন করেননি। অপ্রপ্রচার ও বাগানের সম্পৃক্তি নষ্টের অভিযোগে শ্রমিক, পঞ্চায়েত সদস্যরা ২ জনের কাজ বন্ধকরেছে জানতে পেরেছি।
এবিষয়ে আরো জানতে ১ নং বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সদস্য চন্দন কুর্মীর চা শ্রমিক ডটকমের কথা হলেও তিনি বলেন এপর্যন্ত যাত্রাগানের কেহ আবেদন করেনি বলে তিনি যানান
স্থানীয় একজন শ্রমিক নাম না প্রকাশের শর্তে তিনি বলেন বেশকিছু লোক দূর্গাপুজা তে যাত্রাপালা করার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে চাইলে চেয়ারম্যানের অসম্মতির কারনে হয়নি পরবর্তী সময়ে বিষয়টি দেখাযাবে বলে চেয়ারম্যান যানিয়েছিল বলে যানাযায়।
অনেকেই বলাবলি করেছে দূর্গাপূজায় নাহলেও কালীপূজাতে যাত্রাগান হতে পারে। এমনি আলোচনার পেক্ষিতে বরমচাল চা বাগানের শিক্ষার্থী রামজিত রবিদাস(২১) পিতাঃ কালাচান রবিদাস এবং নিতাই রবিদাস পিতাঃ বসু রবিদাস ফেসবুকে ” কালীপূজাতে মন্দিরে যাত্রাপালা বাগান পঞ্চায়েত কমিটি করাচ্ছেন ” যার ফলে গন্ডোগোল সৃষ্টি হলে নিতাই রবিদাসের মাতা ভারতি রবিদাস এবং রামজিত রবিদাসের পিতা কালাচান রবিদাসের সাময়িকভাবে গত ২ দিন বন্ধ রাখা হলেও আজ১৯ অক্টোবর হতে কাজে বহাল করেছে।
এবিষয়ে স্থানীয় ও কয়েকজন ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে চা শ্রমিক ডটকমের কথাহলে যানাযায় তাদের মধ্যে কেহই যাত্রাপালায় সমর্থন করেনি। ভাল কেহই চায়না যাত্রাগান হউক।
এবিষয়ে আরো জানাযায় বাগানে যাত্রাগান হলেও তার নিয়ন্ত্রণ থাকে বাহিরের এলাকার জুয়ারিদের হাতে যারা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে যাত্রার পারমিশন কারো মাধ্যমে করিয়ে থাকে অশাধু চক্রের মাধ্যমে।
যাত্রাগানের প্রস্তুতিমূলক সময়ে ছাত্রদের ফেসবুকে পোষ্টের কারনে যাত্রার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ হলেও পরবর্তীতে যাত্রাগানের পূনঃপদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পার্শবর্তী এলাবাসীর এব বিশেষ সুত্রে যানাযায়।
Leave a Reply