চা শ্রমিক ডটকমঃ মৌলভীবাজার জেলা শ্রীমঙ্গল উপজেলা বালিশিরা ভ্যালী কালাঘাট চা বাগান নাট মন্দির প্রাঙ্গনে দুপুর ১.০০ ঘটিকার সময় চা বাগানে চা শ্রমিক মজুরীর আন্দোলন ও সংগ্রামের জন্য ” চা শ্রমিক অধিকার পরিষদ ” সংগঠণ নামে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
উক্ত সংগঠণে চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটি ও ছাত্র যুবগণ জড়িত থাকবে।
সভা সমাবেশে বিভিন্ন চা বাগান হতে আগত প্রায় ৫০০০ হাজার শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন চা বাগানে চা শ্রমিক শত বছর থেকে শোষিত বঞ্চিত লাঞ্চিত নির্যাতিত হয়ে আসছে যার ধারাবাহিকতায় আজকে ভোগান্তী ভোগ করতে হচ্ছে। মালিকপক্ষ কোম্পানি চা বাগান পাতা থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে বাড়ি গাড়ি ব্যাংক টাকা বানাচ্ছে আর আমরা না খেয়ে মরছি।আমাদের দাবী
৩০০ টাকা হাজিরা বাড়াছে নাই হাজিরা নাই বাড়ালে আমরা বাগানে কাজে যাইব না।
চা শ্রমিক অধিকার পরিষদ আহ্বায়ক মোহন রবিদাস ও সদস্য সচিব কালিঘাট চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটি সভাপতি অবান তাঁতী কে জনসমর্থন করে কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
আজ সকালে বালিশিরা ভ্যালী কেজুরীছড়া চা বাগানে চা শ্রমিক মজুরী বৃদ্ধি ৩০০ টাকা দাবী জন্য চা শ্রমিক সন্তান ও কেজুরীছড়া র্যানার স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীরা ৩০০ টাকা মজুরী জন্য মানববন্ধন করেছে। শিক্ষার্থীরা বলেন চা বাগানে ১২০ টাকা মজুরী দিয়ে কোন ভাবেই পরিবার চালানো যাচ্ছে না। বর্তমানে দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতি ও আমাদের পড়ালেখা খাতা কলম বই স্কুলের বেতন দাম বাড়ছে। তাই ৩০০ টাকা মজুরী আমরা দাবীর জন্য সকলে মিলে ২ ঘন্টা মানববন্ধন পালন করেছে।
চা শ্রমিক অধিকার পরিষদ কমিটি গঠণে বালিশিরা ভ্যালী, লংলা ভ্যালী,লস্করপুর ভ্যালী,মনু ধলাই,জুড়ি ভ্যালী থেকে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দগণ উপস্থিত ছিলেন।
সকালে শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর কার্যালয়ে শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলামামের আহ্বানে বালিশিরা ভ্যালীর পঞ্চায়েত নেতাদের নিয়ে এক সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় জেলা, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রশিদপুর চা বাগান পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক দুলন চাষা বলেন, ‘আমরা ডিডিএল’র ডাকে এসেছি। এখানে এনে আমাদেরকে কাজে যোগদান করার জন্য বলা হয়েছে। আমরা তাদের কথা মানিনি। ’
সাইফ চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি কবির মিয়া বলেন, ‘বাগানে কাজ বন্ধ, তলব বন্ধ, শ্রমিকদের হাতে টাকা নেই। অনেকে হাঁস-মুরগি বিক্রি করে গাড়ি ভাড়া দিয়ে এই সভায় এসেছে।
বাংলাদেশীয় চা সংসদের সদস্য ও ফিনলে টি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তাহসিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে শতশত কোটি টাকার চা নষ্ট হয়ে গেছে। এ শিল্প অন্য শিল্পের মতো নয়। এটি প্রকৃতি নির্ভর ও পচনশীল।
শ্রীমঙ্গললের বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, “শ্রম দপ্তরের উদ্যোগে নতুন কোনো বৈঠকের সিন্ধান্ত নেই। আমরা বৈঠক করেছি চা শ্রমিক নেতাদের সাথে। এখন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেখা হচ্ছে।”
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ অগাস্ট থেকে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেন চা শ্রমিকরা। চারদিন চলার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ১৩ অগাস্ট থেকে তারা একেবারে কাজ বন্ধ করে পূর্ণ কর্মবিরতি মজুরী বৃদ্ধির আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা বলেন শুধু মজুরী বাড়ালে চলবে না মালিকপক্ষ সাথে অন্যান্য দাবী দাওয়া ও বছরের চুক্তি বাস্তবায়ন করার বিধিবিধান রাখতে হবে।
চা শ্রমিকদের ভাষ্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিকট আমাদের মজুরী বৃদ্ধি ৩০০ টাকা বিষয় অধীর আগ্রহে জানার অপেক্ষায় আছে।
মৌলভীবাজার জেলা, হবিগঞ্জ জেলা, সিলেট জেলা চা বাগান শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
Leave a Reply