হবিগঞ্জের স্কাই কুইন চাইনিজ বাংলা রেস্টুরেন্ট,আমির চান কমপ্লেক্সে আজ ৩ই নভেম্বর রবিবার হবিগঞ্জ জেলা শাখার জননেত্রী সৈনিক লীগ সভাপতি এস.এম মানিক সম্রাট।
মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী এক আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
আলোচনা সভার দাওয়াত কার্ড এক সপ্তাহ পূর্বে চা বাগানে গঠিত জননেত্রী সৈনিক দলের সকল সদস্যদের হাতে দেওয়া হয় এবং সেখানে উল্লেখ করা হয় আলোচনা সভাতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত থাকবে জননেত্রী সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ল্যাঃ কর্নেল (অবঃ) জ্বি এম আজিজুর রহমান, উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন জননেত্রী সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এডভোকেট নূরুল ইসলাম রানা চৌধুরী,বিশেষ অতিথি হিসেবে হবিগঞ্জের এস এম সরোযার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক।
দাওয়াত কার্ডে উল্লেখিত কোন ব্যক্তি আলোচনা সভাতে বিকাল ৩ টার সময় উপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও উপস্থিত ছিলোনা তাই বহিরাগত অতিথিদের জাযগায বসে প্রতিবাদ করলেন চা বাগানের জননেত্রী সৈনিক লীগের সভাপতিরা।চা বাগানের সকল সদস্যরা হল ভাড়া ও খাবারের খরচ বাবদ ১০০ টাকা হারে জমা দিয়ে অংশগ্রহন করেছিলো সে আলোচনা সভাতে বক্তাদের কথা শুনার জন্য কিন্তু নিরাশা হয়ে ফিরে যাওয়াতে মানিক সম্রাটের প্রতি ক্ষোভ এবং প্রকাশ করেন বিভিন্ন চা বাগান থেকে আগত জননেত্রী সৈনিক লীগের সভাপতি
লক্ষীন্দর মুন্ডা,বাবুল মৃধা,রানা প্রতাপ সিং,নথুলাল রাজপ্রধান সহ উপস্থিত সকল সদস্য।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বেগমখান,লস্করপুর,নালুয়া, কাপাই,রেমা,চানামারি সহ বেশকিছু চা বাগানে জননেত্রী সৈনিক লীগ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এস.এম মানিক সম্রাট জননেত্রী সৈনিক লীগ গঠন করেন এবং ব্যানারের মাধ্যমে পরিচিত করে তুলতে প্রত্যেক সদস্যের কাছ ব্যানারের খরচ টাকা উত্তোলন করেন এবং চা শ্রমিকদের কথা দেন এই সৈনিক লীগে যুক্ত হবার পর চা শ্রমিকদের দুঃখ কষ্টে পাশে থাকবে শেখ হাসিনার শক্তি এবং সবাইকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্মুখে নিয়ে যাবে খুব শীগ্রই।
চা শ্রমিকদের বিশ্বাস ছিলো জননেত্রী সৈনিক লীগের কোন বড় নেতা তাদের সামনে এসে চা শ্রমিকদের সমস্যা এবং দল গঠনের কারন বিস্তারিত শুনাবে কিন্তু আলোচনা সভাতে উপস্থিত হয়ে নিরাশা হয়ে দশমী মাল, আমবতি,আনুয়ারা বেগম সহ অনেকে জানান, যে টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়ার খরচ করে আলোচনা সভাতে এসে সময নষ্ট করলাম সে টাকা দিয়ে আমাদের পরিবারের দুইদিনের খাবার হতো এরকম বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে মানিক সম্রাট সকলকে আশ্বাস দিয়েছেন যে পরবর্তী সময় এরকম কোন সমস্যা হবেনা।কিন্তু চা শ্রমিকরা মানিক সম্রাটকে বলেন ২য় বার যদি তার দাওয়াত কার্ডে উল্লেখিত সবাইকে তার সভাতে উপস্থিত রাখতে না পারে তাহলে এই দল বাদ দিতে বাধ্য হবে সবাই।
Leave a Reply