উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী সনজু চৌধুরীর অবদান সমূহ

লিটন মুন্ডা লস্করপুর ভ্যালী প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৭১৯ Time View

চা শ্রমমিক ডটকমঃ চুনারুঘাট উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী নির্বাচিত হয়েছেন আহম্মদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু। সম্প্রতি সময়ে চুনারুঘাট উপজেলা বাচাই কমিটি এ ঘোষনা দেন। তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মত আহম্মদাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনজু চৌধুরী যে কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ সমাজকর্মী? সরেজমিন অনুসন্ধানমুলক প্রতিবেদন তৈরী করতে গিয়ে দেখা যায়, তার ইউনিয়নে ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। ৮ বছরেরও বেশি সময়ে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শিক্ষা ও সাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘঠিয়েছেন। নিয়মিতভাবে মা সমাবেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন ও ক্লাস করে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করেন। আমুরোড হাই স্কুলকে কলেজে রূপান্তর, চা বাগান অধ্যুশিত এলাকায় উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন ও নালুয়া চা বাগানে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগীতায় অবহেলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত কালিশিরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৮ম শ্রেনীতে উন্নতি করেছেন। ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৫ ইঞ্চি টেলিভিশন, ল্যাপটপ, সাউন্ড সিস্টেম, দুইটি প্রিন্টার ও একটি কম্পিউটারসহ মাল্টিমিডিয়া শ্রেণী কক্ষ সজ্জিত করেন। যাহা জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড: মাহবুব আলী উত্তাপন করলে প্রশংসিত হয়। ওই স্কুলেই ৮টি বৈদ্যুতিক পাখা, শহীদ মিনার নির্মাণ, বিদ্যালয়ের মাটি ভরাট ও গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করেন। শুধু তাই নয় বগাডুবী আব্দুল মন্নান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য ৩৩ শতক জমি দান করেন এবং আরো দুইটি নতুন বিদ্যালয় নির্মানের জমি সংগ্রহ করে দেন। একই স্কুলে ১লক্ষ টাকা ব্যয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ, মাল্ডিমিডিয়া ক্লাসরুম ও মাটি ভরাটের জন্য ২লক্ষ টাকা প্রদান করেন। শুকদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, চেয়ারম্যান পর্য্যায়ক্রমে ৫৫ ইঞ্চি দুটি টেলিভিশনসহ ২টি ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপন, কম্পিউটার সেট, ৪টি সিলিং ফ্যান ও মাঠে মাটি ভরাট করেন। গাদীশাল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আকমাল জানান, অভিভাবকদের জন্য গার্ডিয়ান শেড তৈরী করে তিনি একটি মানবিক নজির সৃষ্টি করেন যা গ্রামাঞ্চলের জন্য বিরল। তিনি আরো জানান, স্কুলে ৮টি সিলিং ফ্যান, ১ সেট কম্পিউটার ও মাটি ভরাট করেছেন। এছাড়া গঙ্গানগর সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন দেব রায় ও দক্ষিণ কালিশীরি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমন কান্তি দেব রায় বলেন, বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের জন্য উভয়কে ৩ লক্ষ টাকা ও সিলিং ফ্যান প্রদান করেন। গেড়ারুক, রাজার বাজার, বনগাও হাজী আ: সত্তার, আড়ংবিল, ঘনশ্যামপুর, উত্তর ঘনশ্যামপুর, হাজী আবুল হাশিম ও চিমটিবিল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা একইভাবে জানান, ডিজিটাল ক্লাসরুম, কম্পিউটার সেট, মাটি ভরাট ও সিলিং ফ্যান প্রদান করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, সনজু চৌধুরী প্রতি বছর পিএসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচ এসসি কৃতকার্য অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে জাকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করেন। শিক্ষাবান্ধব চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত সনজু চৌধুরী দায়িত্ব নেয়ার পূর্বে ১৮ বছর ওই ইউনিয়নে নিরক্ষর চেয়ারম্যান থাকায় ইউনিয়নে শিক্ষার হার ৪০% নেমে আসে। তার অক্লান্ত প্ররিশ্রম ও আন্তরিকতায় ৮ বছরের মাথায় শিক্ষার হার ৮৫% এ উন্নতি হয়েছে। আগামী দিন এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মত প্রকাশ করেন এলাকার শিক্ষানুরাগী ও সুশিল সমাজ। ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা- সিলেট শাহ্ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. এম এম ফারুক বলেন, সনজু চৌধুরী চেয়ারম্যান হওয়ার পর আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে আমুল পরিবর্তন হয়েছে, যা গত ১০বছরের তুলনায় অনেক এগিয়ে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category