অটোচালকের বিরুদ্ধে দুই নারী যাত্রীকে দেওড়াছড়া চা বাগানে ১১ জনের ধর্ষণের অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৯৭৪ Time View

চা শ্রমিক ডটকম, বিশেষ প্রতিবেদকঃ শুক্রবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার দেওরাছড়া চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীরা মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের একজনের বয়স আনুমানিক বয়স ২৮, অন্যজনের ২৪।

আটকরা হলেন- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বনশ্রী এলাকার অটোচালক ইউসুফ মিয়া, রুবেল মিয়া, আলমগীর হোসেন, সলিম মিয়া, দেওড়াছড়া চা বাগানের রবিলাল উড়াং, বিকাশ মুণ্ডা ও আবু সুফিয়ান।

ভুক্তভোগীরা জানান, শুক্রবার রাতে মৌলভীবাজার শহরের পৌর পার্ক থেকে কমলঞ্জের মুন্সিবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে অটোরিকশা রিজার্ভ করেন তারা। তাদের সঙ্গে তিন বছরের একটি শিশু ছিল। অটোরিকশাটি নিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর দুই যাত্রী তোলেন চালক। তখন ওই দুই নারী বাধা দিলে চালক জানান, এরা তার পরিচিত, বিপদে পড়েছে সামনেই নামবে। পরে কমলগঞ্জ যাওয়ার পথে দেওরাছড়া চা বাগানের নির্জন যায়গায় তাদের সঙ্গে আরো ৭-৮ জন যোগ দেয়।

তারা আরো জানান, কৌশলে তারা চালককে বলেন- যা হবার হয়েছে এবার আমাদের দিয়ে আসেন। চালক তাদের নিয়ে ফের মুন্সিবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে রহিমপুর ইউপির সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদ খানের দোকানের সামনে পৌঁছানোর আগে এক নারী জরুরি কাজ আছে বলে দোকানে থামাতে বলেন। দোকানের সামনে অটোরিকশা থামানো মাত্র তারা চিৎকার শুরু করেন। এ সময় চালক অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ভুক্তভোগীদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।

রহিমপুর ইউপির সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদ খান বলেন, আমার দোকানে ঢুকে তারা অভিযোগ দেন। এ সময় চালক পালিয়ে যায়। জেনেছি তার নাম ইউসুফ মিয়া, বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বনশ্রী এলাকায়। পরে আমি পুলিশে খবর দেই।

কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগীর স্বামী ইউসুফ ও সলিমের নাম উল্লেখ করে গণধর্ষণের মামলা করেন। আটকরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category