চা শ্রমিক ডটকমঃ মহামান্য আদালতের নির্দেশে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি জাফলং সহ সকল পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকার কারণে, কোন ভাবে সংসার চালানোর জন্য, উপার্জনের ক্ষেত্রে জাফলং পিয়াইন নদী বেছে নিয়েছেন বলে শ্রমিকরা জানান।
সকালে জাফলং ব্রীজের উপরে দাঁড়িয়ে থাকলে দেখা যায় জাফলং পিয়াইন নদীতে হাজারো শ্রমিকের ঢল দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
আমাদের প্রতিনিধিরা শ্রমিকদের কাছে গিয়ে দেখতে পায়, মহিলারা জাফলং পিয়াইন নদীতে দুই তিন জন মিলে বালু চালনি করে বালুর মোটা সাইজ বের করে,কেউ বালুর চিপ বলে আবারো বজুরি নামে ও পরচিত,
তাদের কাছে জানাযায় এভাবে তারা প্রতিদিন দুই বারকি মানে দুই নৌকা করে বালুর চিপ তোলে বিক্রি করে প্রতি নৌকা ২৬০থেকে ২৭০ টাকা করে,
একয় ভাবে পুরুষরা পানিতে বালতি দিয়ে বালু তোলে পানির মধ্যেই চালনি করে চিপ বের করে বিক্রি করেন প্রতি নৌকা ২৬০ টাকা থেকে ২৭০ টাকা পর্যন্ত,
তারা বলেন জাফলং এর বল্লাঘাট পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় জাফলং পিয়াইন নদীতে দ্বিগুণ চিপ শ্রমিক হওয়াতে সঠিক দামে চিপের বারকি বিক্রি করতে পারে না,আগের তোলনায় প্রতি নৌকাতে ৮০/৯০ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আবারো অন্যান্য শ্রমিকরা নদীতে ৩০/২৫ ফুট গভীর থেকে রশি দিয়ে বালতি বেধে পাথর উত্তলন করে। তারা বলেন জাফলং এর বল্লাঘাট পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় অনেক কষ্ট করতে হয় আমাদের, সংসার চালানোর জন্য শীতের মধ্যে পানিতে অনেক যুকি নিয়ে কাজ করতে হয় আমাদের।
যদি সনাতন পদ্ধতিতে জাফলং এর বল্লাঘাট পাথর কোয়ারী চলতো তাহলে আমাদের শীতের মধ্যে পানিতে এতো কষ্ট করে কাজ করতে হতো না। সনাতন পদ্ধতিতে কোয়ারী চললে শুধু পানি শুকানোর জন্য পানির মেশিন চালানো হতো। আর আমাদের পানির মধ্যে কাজ করতে হতো না বলে জানান।
এদিকে জাফলং পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় দূরদূরান্ত থেকে কাজের ছুটে এসে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে শ্রমিকদের
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বাহারপুর ইউনিয়ন কাঠালপুর গ্রামের প্রহ্লাদ দাস পরিবার নিয়ে কাজের জন্য ছুটে আসেন জাফলংগে, তিনি বলেন জাপলংগের প্রতিবারের মতো কাজের জন্য আমরা এসেছি কিন্তু এবারে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা থাকায় জাফলং পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাদের, প্রতি মাসে বাসা বাড়া দিতে হয় ২৫০০ টাকা,পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় কোন মতে জাফলং পিয়াইন নদীতে চিপ তোলে বিক্রি করে কোনভাবে সংসার চালাচ্ছেন বলে জানান।
Leave a Reply