গতকাল ১৪ই জানুয়ারি সকাল অনুঃ ১০.৩০সময় শ্রীমঙ্গলের বধ্যভূমি ৭১ এর পাশে ভাড়াউড়া চা বাগানের মধ্যে কড়ই গাছ এর সাথে কালো রঙের চাদর দিয়ে গলায় বাঁধা অবস্থায় একটা ছেলের লাশ পাওয়া যায় লাশের অবস্থা দেখে অনুমান করাহয় কেহ তাকে খুন করে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান এর নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালেক পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ সোহেল রানা, পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন এন্ড কমিউনিটি পুলিশিং নয়ন, এসআই মোঃ আব্দুল মালিক পিপিএম, এসআই মোঃ দেলোয়ার হোসেন,এ এসআই এনামুল হক এএসআই বাসুকান্তী দাস ও একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্তকরণে মৃতদেহের সাথে থাকা চাদর ও ব্যবহারকারী এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করা হয়। পরে শ্রীমঙ্গল শহরের সিন্দুরখান রোড, স্টেশন রোড, মৌলভীবাজার রোডে অভিযান পরিচালনা করে স্টেশন রোড এলাকা থেকে সাব্বির মিয়া এবং খাসগাও এলাকা থেকে ফয়সাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা যানাযায়। জবানবন্দি অনুযায়ী জানা যায় ভিকটিম মোঃ ইব্রাহিম মিয়া রকির সাথে সাব্বির (১৭) মিয়া পিতা আবুল মিয়া সাং জয়নগর ১ নং লোকরা ইউপি থানা ও জেলা হবিগঞ্জ বর্তমান পশ্চিমগাঁও সিন্দুরখান রোড শ্রীমঙ্গল পরস্পরের বন্ধু ছিল। বিগত এক মাস পূর্বে ভিকটিম মোহাম্মদ ইব্রাহিম রকি ও সাব্বির মিয়া দুজনের মধ্যে সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে ঝগড়া বাধে। এরপর হইতে সাব্বির মিয়া প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। ঘটনার পর থেকে গত একমাস যাবত তাদের দুজনের মধ্যে কোন যোগাযোগ ছিল না।
অবশেষে গত১৩ই জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার সময় ইব্রাহীম মিয়া রকি কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে সেই মোতাবেক সাব্বির তাহার আরেক বন্ধু মোঃ ফয়সাল মিয়াকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোডে একত্রিত হয়। রাত অনুমান সাড়ে ৮ ঘটিকার সময় সাব্বির মিয়া ইব্রাহিম মিয়াকে ফোন করিলে ভিকটিম রকি জানায় সে রেলগেটে আছে, সাব্বির মিয়া ও ফয়সাল মিয়া শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোডস্থ রেল গেটে গিয়ে ভিকটিম মোঃ ইব্রাহিম মিয়া রকিকে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে দক্ষিণ ভাড়াউড়া চা বাগানে নিয়ে সাব্বির মিয়া মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরে মাটিতে শুয়ে দেয়। সাথে সাথে ফয়সাল মিয়া সাব্বির মিয়া ভিকটিমের হাতে ধরে। মুখে স্কস্টেপ রেকসিন দিয়ে মুখে ও গলায় পেচিয়ে প্রায় ১০ মিনিট ভিকটিমের গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরে বুকের উপরে বসে থাকে। তখন পা চেপে ধরে রাখে রকি।মারাগেলে তারা দুইজন মিলে ভিকটিমের জ্যাকেটের ধরে টেনে ৭/৮ হাত দূরে অবস্থিত করই গাছের সাথে সাব্বির মিয়ার ব্যবহৃত কালো রঙ্গের চাদর দুইভাগ করে এবং ভিকটিমের পরিহিত প্যান্টের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে বেঁধে রাখে। পরে তারা ২জনেই বাড়িতে চলেযায় এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার মামলা নং ২২ আজ ১৫ই জানুয়ারি ধারা ৩০২/৩৪পেনাল কোড করা হয়েছে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে থানা সুত্রে যানাযায়।
Leave a Reply