চা শ্রমিক ডটকম,বিশেষ প্রতিবেদকঃসিলেট শহরতলীর খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবের বাজার এলাকার ফড়িংউড়া গ্রামে অবৈধ ভাবে গাছ কেটে তৈরী করা হচ্ছে কয়লা (আংরা),পরিবেশ পড়ছে হুমকির মুখে।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বেশকিছু জায়গা জুড়ে
ছোট ছোট গাছ কেটে বড় বড় গর্তে তা পুড়ানো হচ্ছে,কালো ধুয়া ছেয়ে গেছে পুরো গ্রাম।আশপাশে মানুষের ঘর বাড়ী এবং শত শত মানুষের বসবাস রয়েছে।এসকল গাছ কোথা হতে সংগ্রহ করে পুড়ানো হচ্ছে তা বের করতে গিয়ে উঠে আসে নানা তথ্য।
এলাকার একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,এই পরিবেশ বিধ্বংসী কয়লার প্রস্তুতকারী গৌরাঙ্গ পাত্র রাতের আঁধারে খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান,কালাগুল চা বাগান,আশপাশের টিলা প্রভৃতি
এলাকা হতে অবৈধ ভাবে হাজার হাজার ছোট ছোট গাছ কেটে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
অবৈধ ভাবে এসব গাছ কাটায় কেউ তাকে বাঁধা নিষেধ করেছেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,
পরিবেশের ক্ষতি করে কয়লা প্রস্তুত না করার জন্য তাকে বার বার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিষেধ করেছেন কিন্তু সে কারো কথায় পাত্তা দেয়নি বরং এই অবৈধ কাজ দিন দিন প্রসারিত করে যাচ্ছে,রাতের আঁধারে ফরেস্টের গাছ চুরির জন্য তার একটি চক্র রয়েছে বলে ঐ সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া গৌরাঙ্গের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অন্যের জাগা দখলেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের গাছ কাটার কথা জানতে চাইলে,উদ্যানকর্মী আব্দুল কাদির বলেন,খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান দেশের সম্পদ।উদ্যানের ফরেস্টের গাছ রাতের আঁধারে দীর্ঘদিন ধরে চুরি হচ্ছে,আমরা গৌরাঙ্গের কয়লা পুড়ানোর খবর জানতে পেরে সেখানে যাই,গিয়ে দেখি,ইট ভাটার মতন বড় বড় গর্ত করে তিনি গাছ জ্বালিয়ে কালো ধুয়া দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছেন,আমরা তাকে নিষেধ করে এসেছি এবং শীঘ্রই নোটিশ দিয়ে তা বন্দের জন্য প্রদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।তারপরও তিনি তা না মানলে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে।
সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও)’র পক্ষ থেকে সরজমিনে তদন্তকারী একজন কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি জানান,গৌরাঙ্গ পাত্র ছোট ছোট গাছ কাটছেন যা ঠিক না,সম্পূর্ণ বেআইনী।আবার
তা জ্বালিয়ে আশপাশের পরিবেশ তিনি বিনষ্ট করছেন ,অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
এসময় গৌরাঙ্গ পাত্রের সাথে কয়েক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও প্রতিবেদকের সাথে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।
জানা যায়,গৌরাঙ্গ পাত্র দীর্ঘদিন ধরে গাছ কেটে অবৈধ ভাবে কয়লা তৈরী করছেন,পরিবেশ ধ্বংসের মুখে থাকা সত্তেও তিনি তার কৃতিম কয়লাখনি সম্প্রসারিত করছেন দিন দিন।এলাকাবাসী পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করে তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply